শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমি আজ বিস্তারিত আলোচনা করব। আমরা অনেকেই শসা খেতে খুব পছন্দ করে থাকি। আবার অনেকেই শসার সালাত হিসাবে খেয়ে থাকি । ছোট বড় সবাই শশা খেতে খুব পছন্দ করে। শসা শুধু সালাত হিসাবে নয় অনেক সময় আমরা খালি মুখেও শসা খেয়ে থাকি।
শসার উপকারিতা
প্রত্যেকদিনের খাবার তালিকায় শশা একটি পরিচিত নাম। বেশিরভাগ সালাতেই শসা ব্যবহার হয়ে থাকে। শসা তে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে যা আমাদের শরীরে স্বাস্থ্যের সহায়ক এবং শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। শসা সাধারণত সারা বছরই পাওয়া যায়। আপনার শরীরের ওজন কমাতে হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে ব্যথা কমাতে বেশ উপকার পাওয়া যায় শসাতে। থাকা খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক-
শসার উপকারিতা
প্রত্যেকদিনের খাবার তালিকায় শশা একটি পরিচিত নাম। বেশিরভাগ সালাতেই শসা ব্যবহার হয়ে থাকে। শসা তে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে যা আমাদের শরীরে স্বাস্থ্যের সহায়ক এবং শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। শসা সাধারণত সারা বছরই পাওয়া যায়। আপনার শরীরের ওজন কমাতে হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে ব্যথা কমাতে বেশ উপকার পাওয়া যায় শসাতে। থাকা খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক-ওজন কমাতে
আপনার শরীরে ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে আদর্শ খাবার হল শসা। যদি কেউ শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে অধিকাংশই বিশেষজ্ঞরা শসা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটা কেবল হজমে সহায়তা করে তা কিন্তু নয় সেই সাথে এর মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত ফাইবার ও পানি। এটার মধ্যে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে বলে শরীরের ওজন কমানো বেশ সহজ। এটার মধ্যে কোন ফ্যাট নেই যদি আপনি নিয়মিত চা খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের চর্বি ঝরাতে সাহায্য করবে।
মাড়ির জন্য
আপনার শরীরের সুস্বাস্থ্যের জন্য নারী ও দাঁত ভালো রাখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শসা আপনার মুখে এসিডের ভারসাম্য ও পিএইচ এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। এর জন্য যদি আপনার শরীরে কোথাও কাটা ছেঁড়া হয় ও ক্ষত প্রতিরোধ করতেও সহজ হয়। যদি আপনারা নিয়মিত শসা খান তাহলে দাঁত ও নারীর রোগ হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবেন। নিয়মিত শাখা খেলে দাঁতের প্লাক এবং টক্সিন তৈরি করে পরিষ্কার করে থাকে।
শরীর হাইড্রেট রাখে
প্রত্যেকদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। শসা আপনাকে হাইড্রেশনের চাহিদা পূরণ করতে পারে। সাধারণত শসার মধ্যে ৯৬% পানি থাকে যা আপনাকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং প্রত্যেকদিনের চাহিদা মিটাতে পারে। নিয়মিত ভালো শাকসবজি খেলে শরীরের কোষগুলো সঠিক পুষ্টি পায় এবং আপনার শরীরে ক্লান্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং আপনার শরীর সারাদিন শক্তি বজায় থাকে।
টক্সিন বের করে দিতে
নিয়মিত শসা খেলে আপনার পেট পরিষ্কার হবে এটা খেলে আপনার শরীরের ক্ষতিকর জীবাণু এবং বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দেওয়ার কাজ সহজ হয়। এরপরে আপনার শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শরীর স্বাস্থ্যকর হয়। এটা নিয়মিত খেলে আপনার শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। এটা আপনার শরীরে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর মাত্রা ধরে রাখে সেই সাথে অন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে
যদি আপনারা নিয়মিত শসা খেতে পারেন তাহলে এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ব্যক্তি যা এক ধরনের আকৃতি ভাবেই বা দ্রবণীয় ফাইবার এটি আপনার শরীরের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে এমনকি টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
চোখের জন্য ভালো
শসা আছে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ও লুটিন যা আপনার চোখের জন্য বেশ উপকারী। এন্টিঅক্সিডেন্ট গুলি ফ্রী রেডিক্যাল গুলি সঞ্চালনার ফলে সৃষ্ট ক্ষতির হাত থেকে চোখকে রক্ষা রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে।
চুল ভালো রাখতে
নিয়মিত থাকলে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। আকাশে রয়েছে চিলকা ও সালফার যা আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। যদি আপনি আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত চা খাবেন এতে আপনার চুল ভালো থাকবে।
শসার অপকারিতা
শসা খাওয়ার যেমন উপকারিতা আছে তেমনি এর কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। অনেকেই ছটা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলেও এর উপকারিতা সম্পর্কে কিছুই জানিনা তাহলে এবার শসা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে কিছু জেনে নেই-
* অতিরিক্ত শসা খেলে না শরীরে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত শসা খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। হাসাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা পরিমাণ মতো খাওয়া হলে আপনার শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে কিন্তু এই ফাইবার সম্মিলিত শসা পরিমাণের চেয়ে বেশি খেলে না শরীরে বদহজম প্রযন্ত হতে পারে।
* প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে শসাতে। যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে শসা খান তাহলে আপনার রক্তচাপ হওয়ার নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে।
* অনেক সময় দেখা যায় যে বেশি পরিমাণে শসা খেলে ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যাদের এধরনের সমস্যা আছে তাদেরকে অবশ্যই অতিরিক্ত শসা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদেরকে আর্টিকেলের মাধ্যমে শসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা এই আর্টিকেল কি করে বেশ উপকৃত হয়েছে। আর এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের মাঝে অবশ্যই শেয়ার করবেন যাতে তারাই সম্পর্কে জানতে পারে।
আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমার এই ওয়েবসাইটটি আপনারা নিয়মিত ভিজিট করবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url