Post Page After Menubar Ad

টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন



প্রিয় পাঠক, টমেটো খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আজকের এই আর্টিকেলে। যদি আপনারা টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তবে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে টমেটো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
টমেটো ফল দেখতে লাল তেমনি এটা খেতেও বেশ সুস্বাদু। খাবারের সাথে বাড়তি সাহায্য দেই আপনারা যোগ করতে চান তাহলে টমেটো সালাতের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের শরীরে পুষ্টির চাহিদা যদি পূরণ করতে চান তাহলে নিয়মিত টমেটো খান। প্রতিদিন আপনারা পাকা টমেটো ছেলে আপনাদের শরীরে রোগ বলাই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে অনেকটা কমে যায়।

ভূমিকা

টমেটোতে আছে বিশেষ গুনাগুন এবং উপকারিতা। আমাদের দেশে টমেটো সবজি এবং ফল দুই হিসাবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। টমেটোকে আমরা সাধারণত সবজি হিসেবে ধরে নিতে পারি। আজকে টমেটোর উপকারিতা সম্পর্কে অপকারিতা সম্পর্কে টমেটোর  নিয়ম টমেটোর পুষ্টিগুণ টমেটো খেলে কি ওজন কমে প্রতিদিন কি পরিমানে টমেটো খাওয়া উচিত এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আজকের এই আর্টিকেলে।

টমেটো খাওয়ার নিয়ম

টমেটো উপকারিতা এতই বেশি যে, পুষ্টিবিদরা নিয়মিতভাবে টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। হবে আপনাদের অনেকেরই খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না। যদিও টমেটো  নির্দিষ্ট কোন নিয়ম-নীতি নাই তবে পদ্ধতিতে টমেটো খেলে আপনারা বেশি পুষ্টি লাভ করে উপকৃত হতে পারবেন। তাহলে এবার চলুন  খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।

* যখন আপনি কাঁচা টমেটো খাবেন তখন এর সাথে লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। টমেটো লবণ মিশিয়ে ফেলে টমেটোতে থাকা লাইকোপিন শোষণে সহায়তা করে ‌

* অনেক তরকারিতে আপনি টমাটো দিয়ে সবজি রান্না করে খেতে পারেন। তবে তরকারিতে টমেটো দিয়ে রান্না করলে বেশি পানি ব্যবহার করা যাবে না। যদি আপনারা তরকারিতে বেশি পানি ব্যবহার করেন তাহলে টমেটোর পুষ্টিগুণ অনেকটা নষ্ট হয়ে যায়।

* টমেটো জুস বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন অনলাইন বা ইউটিউব ঘাটাঘাটি করে কিভাবে টমেটোর জুস বানানো যায় তার রেসিপি আপনারা পেয়ে যাবেন। যখন আপনি টমেটো দিয়ে জুস বানাবেন তখন টমেটোর বেশি কিন্তু ফেলে দিবেন না। কারণ এই টমেটোর বিচির ভেতর অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে।

* অনেক খাবারের সাথে আপনারা টমেটোর সস বানিয়েও খেতে পারেন। বিভিন্ন সবজির সাথে টমেটোর সস মিশিয়ে খেলে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার শরীরে অনেক পুষ্টি পাবে।

সকালবেলা টমেটো খাওয়ার সবচেয়ে সঠিক সময়। যদি আপনি সকালবেলা খালি পেটে টমেটো খান তাহলে আপনার শরীরের এসিডিটি দূর করতে সহায়তা করবে এবং আপনার শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এবার তাহলে বুঝতে পারছেন সকালবেলা খালি পেটে টমেটো কতটা উপকারিতা। আবার দুপুর বেলা যদি আপনি টমেটো খান তাহলে আপনার শরীরে ওজন কমাতে সহায়তা করবে এবং আপনার শরীরে খোদা নিবারণ করতে সহায়তা করবে। আবার যদি আপনারা রাতের বেলা টমেটো খান তাহলে আপনাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করবে এবং হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। টমেটোতে সাধারণত কীটনাশক ব্যবহার করা হয় সেজন্য আপনারা যখন টমেটো খাবেন অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে খাবেন।

টমেটোর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান

পুষ্টিবিদদের মতে যদি আপনি আপনার শরীরে খোদা বাড়াতে চান তাহলে নিয়মিত লাল টমেটো খান। এই লাল টমেটো আপনার শরীরের ভিটামিন ,ক্যালসিয়াম, আয়রন ,ক্যারোটিন, ফলিক এসিড এর মত খাদ্য উপাদান আপনার বেশি গঠনে সহায়তা করে।

এবার জেনে নেই প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোর কি কি পুষ্টি উপাদান থাকে।

* ভিটামিন এ ২৮৭ আই ইউ

* ভিটামিন সি ২৫ মিলিগ্রাম

* ভিটামিন কে ১০.৩ মাইক্রো গ্রাম

* থায়ামিন বি১ ০.০৮ মিলিগ্রাম

* নিয়াসিন বি ৩ ০.০৭ মিলিগ্রাম

* ভিটামিন বি ৬ ০.০৮ মিলিগ্রাম

* ফোলেট বি৯ ২৪ মাইক্রো গ্রাম

* শর্করা ২.৬৪ গ্রাম

* ক্যালোরি ১৯ কিলো ক্যালরি

* ফাইবার ১.৩ গ্রাম

* প্রোটিন ০.১০ গ্রাম

* চর্বি ০.৩ গ্রাম

* সোডিয়াম ৬ মিলিগ্রাম

* পটাশিয়াম ২৯৩ মিলিগ্রাম

* ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম

* ম্যাগনেসিয়াম ১২ মিলিগ্রাম

* আয়রন ০.০৪ মিলিগ্রাম

* জিংক ০.১৮ মিলিগ্রাম

* ফসফরাস ২৫ মিলিগ্রাম

মাঝারি ধারনা একটা টমাটোতে যে পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে একটি কলাতেও সে পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। এই পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম উভয়ই আপনার হার্টের কার্যকারিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পটাশিয়াম আপনার শরীরের রক্তনালীতে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে ও টমেটো থাকা পটাশিয়াম আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

টমেটোর উপকারিতা

টমেটোর উপকারিতা কথা বলে শেষ করা যাবে না। এই সবজিতে আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রাখতে পারেন। যদি আপনি আপনার শরীরে কিছুটা ওজন কমাতে চান ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে টমেটো একটি আদর্শ খাবার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যে সকল ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস আছে তারা যদি নিয়মিত টমেটো খান তাহলে আপনাদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে। সার্বোপরি যে সকল মায়েরা গর্ভবতী তাদের জন্য টমেটো একটি কার্যকারী সবজি। চলুন তাহলে টমেটোর উপকারিতা সম্পর্কে আরো কিছু জেনে নেই।

ক্যান্সার প্রতিরোধে

আমেরিকান ইংলিশ ভিডিও ফর অ্যান্সার রিসার্চ অনুসারে টমেটোতে যে লাইকোপিন নামক উপাদান থাকে এটি ক্যান্সার প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী হতে পারে। লাইকোপিন হচ্ছে ক্যারোটিনয়েডস পরিবারের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর বৈশিষ্ট্য গুলি বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরের তৈরি হওয়া ফ্রি রেডিকেল গুলিকে বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, টমেটোর উপাদান বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের কোষ বিস্তার রোধ করতে সক্ষম হয়েছে।

আরো বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে টমেটো প্রটেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। টমেটোতে থাকে অথচ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর জন্য এটি স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

তুমি তো আপনার শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। কারণ কমেন্টে তে থাকে লাইকোপেন যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে । টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, এই খনিজ উপাদান আপনার শরীরের রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। টমেটোতে থাকা পটাশিয়াম রক্তে সোডিয়ামের প্রভাব কমাতে সহায়তা করে। আপনি যত বেশি পরিমাণ পটাশিয়াম গ্রহণ করবেন, প্রসবের মাধ্যমে আপনার তত সোডিয়াম বের হবে।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এর তথ্য অনুসারে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রত্যেকদিন ৪ হাজার ৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয়ে থাকে। তবে পটাশিয়াম খাওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই আচার্য থাকতে হবে যেন বেশি পরিমাণে খাওয়া না হয়। কারণ এই পটাশিয়াম বেশি খেলে আপনার কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

একটি পাকা টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যদি টমেটো পুরোপুরি টাকা না হয় তবে আপনি ঘরে তাপমাত্রায় আপনার টমেটো সংরক্ষণ করতে পারে। মোটামুটি একবার পেরে গেলে আপনি এটা তিনদিন পর্যন্ত ফ্রিজে রাখতে পারেন। এর বাহিরেও আপনি কোন হিমাগারে সেগুলো সংরক্ষণ করতে পারেন।  খাওয়ার সবচেয়ে নিরাপদ হলো জমি থেকে তুলে বাজার থেকে কিনে সেগুলো ধুয়ে তরতাজা খেতে হবে। কারণ তরতাজা টমেটোতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে এজন্য আপনার শরীরের রক্তচাপ কমানো সে সহজ উপায়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে টমেটোর রস আপনার শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটা আবার আপনি শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। মতো আপনার শরীরের মাত্রা কমাতে পারে। টমেটোতে এন্ট্রি অক্সিডেন্ট এর একটি বড় উৎস এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও এতে ক্যালরি থাকে খুব কম। তাই এই সুস্বাদু টমেটো আপনার শরীরের তৃপ্তি মিটাবে এবং আপনার শরীরের ক্যালরি গ্রহণ করার প্রবণতা কমায় যার জন্য আপনার শরীরের ওজন কমাতে দ্রুত সহায়তা করে।

ত্বক ও চুলের যত্নে

ত্বক ও চুলের যত্নে টমেটোর উপকারিতা বেশ ভালো।। বেশিরভাগ সৌন্দর্য চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে টমেটো। টমেটো আপনার ত্বকের পোর নিরাময় করতে, রোদে পোড়া দাগ থেকে রক্ষা করে এবং নিস্তেজ ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। আপনি নিয়মিত টমেটো খেলে আপনার টক থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করবে এবং আপনার ত্বক দীর্ঘ সময়ের জন্য সতেজ রাখে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে

টমেটোতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ । যা আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য বেশ কার্যকারী একটি উপাদান। আপনার চোখে রেটিনা ভিটামিন এ এর উপর নির্ভর করে এবং ভিটামিনের অভাবে রাতকানা পর্যন্ত হতে পারে। তাই আপনারা নিয়মিত টমেটো খাবেন। আপনাদের চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। চোখের বিভিন্ন উপকারী পুষ্টি উপাদানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভিটামিন সি ও কপার। এই ভিটামিন সি আপনার বয়স সম্পর্কিত চোখের ছানির বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কপার মেলানিন তৈরি করতে সহায়তা করে যা আপনার চোখের রঙ কালো হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আবার টমেটোতে থাকা লুটিনের কথাও বলতে হবে। এটি একটি ফাইটোকেমিক্যাল এবং ক্যারোটিনয়েডস যা আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।

টমেটো খাওয়ার অপকারিতা

টমেটো খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকারে আসে আবার অতিরিক্ত খেলে এর কিছু ক্ষতির দিক আছে। আসুন আমরা টমেটো  অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।

* টমেটোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খান তাহলে আপনার কিডনি পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

* টমেটোতে সোলানিন নামক অ্যালকালয়েড থাকে, আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে টমেটো খান তাহলে আপনার শরীরে জিতেগিতে ব্যাথা হতে পারে বা ফুলে যেতে পারে।

* যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে এটা খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার এসিডিটির সম্ভাবনা বেশি থাকে এমনকি ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।

* টমেটো পাকা হোক বা কাঁচা হোক কখনো এটা খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়।

* টমেটোতে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় যদি আপনি না ধুয়ে এটা খান তাহলে আপনার পেটের বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

টমেটো খেলে কি গ্যাস হয়

যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে এটা খান তাহলে আপনার এসিডিটি সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনাদের যদি কারো এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে অতিরিক্ত টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকবে। এমন কিছু কিছু রোগ আছে যা টমেটো খেলে আপনার ক্ষতির কারণ হতে পারে। যে সকল ব্যক্তি কিডনির সমস্যা আছে ও কিডনিতে পাথর আছে তাদেরকে টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ টমেটো তো আছে প্রচুর পরিমাণে এক্সালেট। সুতরাং যাদের কিডনি সমস্যায় ভুগছেন এ সময় টমেটো খেলে আপনাদের আরো বেশি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

টমেটো খেলে কি ওজন কমে

টমেটো আপনার পেটের মেদ কমাতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে যদি আপনি নিয়মিত টমেটো খান তাহলে আপনার ওজন কমতে থাকবে। এর পাশাপাশি আপনার স্বাস্থ্য সুস্থ ও সবল থাকবে। টমেটোতে ক্যালোরি পরিমাণ কম থাকে বলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা তেমন থাকে না। একটা টমেটোতে ক্যালোরি থাকে মাত্র ১৬ গ্রাম। নিয়মিত টমেটো খেলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করবে। যদি আপনি ওজন তোমাকে চান তাহলে রাতের খাবারের সাথে টমেটোর সালাত রাখতে পারেন। একদিন রাতে যদি আপনি নিয়মিত সালাত করে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের হেড অনেকটা দূর করতে সক্ষম হবে।

প্রতিদিন কি পরিমানে টমেটো খাওয়া উচিত

আমরা সবাই খেতে ভালবাসি কিন্তু তার কতটুকু খাব তার সঠিক জানিনা। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে তাই বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়। অনেক পুষ্টিবিদরা বলেন প্রতিদিন তিন থেকে চারটা টমেটো খেতে পারেন এর বেশি খেলে আপনার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত তিন চরটা টমেটো খান। অতিরিক্ত টমাটো খেলে আপনার শরীরের বা পেটের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আশা করছি আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালোমতো টমেটো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিয়েছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন যেন তারাও টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url