সয়াবিন তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখুন

সয়াবিন তেল আমরা রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি। সয়াবিন তেলের অনেক উপকারিতা ও অপকারিতা আছে যা যা আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না। আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে আমি সয়াবিন তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি আপনারা এইটি মনোযোগ সহকারে পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সারা দিন উৎপাদন দেশ ইউনাইটেড স্টেট। এরপর ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ও চীনের অবস্থান। এমনকি ভারতীয় বৃহত্তম স্বাধীন উৎপাদক দেশ। ভারতের সয়াবিন উৎপাদনে রাজ্য গুলি হল রাজ্যস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র‌।

আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ রান্নাবান্নায় প্রধান ভরসা সয়াবিন তেল। সঠিক উস্টিমাদের কারণে দিন দিন সয়াবিন তেলের রান্না করা খাবার মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। নিম্নে সয়াবিন তেলের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

* যে সকল ব্যক্তি লিভারের সমস্যা ও হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী এসব ভিটামিন। মাংস ডিম ও ডেইরি পণ্যের মতোই প্রয়োজনীয় প্রাণিজ প্রোটিনের সমতুল্য প্রোটিন সয়াবিন তেলে পাওয়া যায়। এতে ফ্যাটের পরিমাণ অনেকটা কম। সয়াবিন তেলে থাকা ভিটামিন ই ও লেসিথিন জাতীয় এন্টিঅক্সিডেন্ট গুরিয়ে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

* আর মজবুত করতে তোর দাঁত ভালো রাখতে সয়াবিন তেলের জুড়ি নেই। এই ফাঁকা আয়রন আমাদের শরীরে রক্তের সুস্থতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। যদি আপনারা নিয়মিত সয়াবিন তেল খান তাহলে অনেক মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের যদি অনেকটা কমে আসে। এজন্য বয়সন্ধিকালে মেয়েদের বেশি বেশি সয়াবিন তেল খাওয়া খুব ভালো।

* সাধারণত সয়াবিন তেলে কোনরকমে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে না বললেই চলে। অনেক সময় কিশোর বয়সে অনেক ছেলেমেয়েদের মুখে গলায় ফুসকুড়ি ও কালো আচিল দেখা যায়। আবার অনেকের মুখে মেছতাও পরে। এ সকল সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে সয়াবিন।

শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন পরে খাদ্য। এজন্য খাবারকে সুস্বাদু করতে ভৈজ্য তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাধারণত আমাদের দেশে রান্নাবান্না সয়াবিন তেল ব্যবহার করা হয় সবচেয়ে বেশি।

অতিরিক্ত সয়াবিন তেল আপনার শরীরে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে ‌ এবার জেনে নেওয়া যাক সয়াবিন তেলের ক্ষতিকারক দিকগুলো-

* যদি আপনারা অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার খান তাহলে আপনার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল তৈরি হবে। এর ফলে আপনার শরীরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সৃষ্টি হবে।

* অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত তেলে ভাজাপোড়া তৈরি করে খাওয়া হয়। এই অতিরিক্ত তেল দিয়ে ভাজাপোড়া খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

* সাধারণত তেলেভাজা কিছু খাবারের মধ্যে আছে সিঙ্গারা, সমুচা চিকেন ফ্রাই ইত্যাদি। এই সমস্ত খাবার খেলে আপনার শরীরে গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

* বেশি পরিমাণ তেল জাতীয় খাবার খেলে আপনার শরীরে হজমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এর জন্য আপনার আমাশা এমনকি ডায়রিয়া ও হতে পারে।

* যদি আপনারা অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার খান তাহলে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এমনকি হার্টের রোগের ও সৃষ্টি হতে পারে।

* অতিরিক্ত পরিমাণ ে সয়াবিন তেল গ্রহণ করলে আপনার শরীরে লিভারের কোলেস্টরেল বেশি হতে পারে। এই লিভারের কোলেস্টেরল থেকে আপনার লিভার সিরোসিস পর্যন্ত হতে পারে ‌

* ক্যালোরি ১২২ মিলিগ্রাম

* চর্বি ১৪ গ্রাম

* ফ্যাট ৮ গ্রাম

অনেক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একজন সুস্থ সবল মানুষ প্রত্যেকদিন ২০ থেকে ৩৫ মিলিলিটার তেল গ্রহণ করতে পারে। এই তেল কোনভাবেই অসম্পৃক্ত চর্বি যেমন ডালডা ,ঘি ,গরু খাসির চর্বি ইত্যাদি হতে পারবে না।

সারাদিন তেল মোট কোলেস্টরেল ও এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে বলে মনে হয়। তবে এটি এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরও হলো কম করতে পারে।

সয়াবিন তেলে সাধারণ ত লিনো লিক এসিড আছে যা ত্বকের আর্দ্রতা বাধাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে এবং অত্যাবশ্যকীয় কাটিয়েছি সরবরাহ করতে সহায়তা করে ‌ যা ত্বকের বাধা বজায় রাখতে সাহায্য করে, পানির হয় কমাতে এবং ত্বকের হাইড্রেশনে সহায়তা করে ও ভিটামিন ই যা ত্বকের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পরিবেশগত সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।

প্রিয় পাঠক, আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে সয়াবিন তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছে। উপকৃত হয়ে থাকলে এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের মাঝে অবশ্যই শেয়ার করবেন যাতে তারা এ সম্পর্কে জানতে পারে।

আর নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন। যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আপনারা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।