জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান সম্পর্কে জানুন
জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান বাড়াতে শিল্প মন্ত্রণালয় বড় ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করে। এসব প্রকল্প প্রাতিষ্ঠানিক শিল্প খাতে অবদান জোরদার করা হবে। প্রাতিষ্ঠানিক খাতের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি এবং শোভন কর্মপরিবেশ তৈরি করা গেলে শিল্প খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ব্যপক হারে কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি এবং দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রভা ও শক্তিশালী হবে।
বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ তরুণী চাকরির বাজারে প্রবেশ করছে। এককভাবে সরকারি খাতে এত লোকের কর্মসংস্থান করা সম্ভব নয়। তাই সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের জন্য মানসম্মত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব।
ভূমিকা
জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পোশাক শিল্প বস্ত্র শিল্পের অবদান খুবই অনস্বীকার্য। এসব খাত থেকে আমাদের প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। বিশেষ করে পোশাকশিল্পে আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ তরুন তরুণী চাকরি করে। তাদের চাহিদা মিটিয়ে তাদের পরিবারকে স্বাবলম্বী করে থাকে এসব তরুণ তরুণী। এবং পাট শিল্প আমাদের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পাটকে আমরা সোনালী আঁশ বলে থাকি।
পোশাক শিল্প
বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাত হলো পোশাক শিল্প। পোশাক শিল্পের শুরুটা হয় আশির দশকের দিকে স্বল্প পরিসরে একটি অপসল অপ্রচলিত রপ্তানি খাত হিসেবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশের মোট রপ্তানায়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি করার মাধ্যমে। জাতীয় অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের নতুন মাত্রা সঞ্চয় হয়েছে।
এই পোশাক শিল্পের মাধ্যমে বিদেশের মাটিতেও বাংলাদেশের নাম পরিচিতি বেড়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করে থাকে এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়ার মত দেশ ও বাংলাদেশ থেকে পোশাক শিল্প আমদানি করে থাকে। বর্তমানে পোশাক রপ্তানিতে চীনের পরেই বাংলাদেশের স্থান। ডেনিম এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্থান প্রথমে ফেলেছে বাংলাদেশ।
সরকারি নীতিগত সহযোগিতা পেলে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থান দখল করবে। পোশাক শিল্পের নেতৃত্বে দিচ্ছে বাংলাদেশ সেখানে বাংলাদেশের প্রশংসিত হচ্ছে। পৃথিবীতে প্রায় ১০ টি সবুজ কারখানা আছে তার মধ্যে আটটি সবুজ কারখানা বাংলাদেশে অবস্থিত। এই পোশাক শিল্পের দিকে সরকারের আরও দৃষ্টি দেওয়া দরকার। ভাই সে পোশাক শিল্প কারখানায় লক্ষ লক্ষ নারী শ্রমিক কাজ করে। এবং প্রতি বছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
বস্ত্র শিল্প
বস্ত্র শিল্প বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। ঢাকা নারায়ণগঞ্জ গাজীপুর জেলাতে অধিকাংশ বস্ত্র কল রয়েছে। এছাড়াও এদেশের তাপ শিল্পে উন্নতমানের সত্যি শীল কও জামদানি শাড়ি তৈরি হচ্ছে। এক সময়ে এদেশের তৈরি মুসলিম কাপড় জগত বিখ্যাত ছিল। এদেশে বাস্তব ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশের বাস্তব গুলো দেশের চাহিদা সম্পন্ন মিটাতে পারে না। এজন্য বিদেশ থেকে বস্ত্র আমদানি করতে হয়।
বস্ত্র শিল্পের বিকাশ সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বস্ত্র শিল্পের জন্য দক্ষ জনবল তৈরীর উদ্দেশ্যে ১৯৭৮ সালে বস্ত্র অধিদপ্তর সৃষ্টি করা হয়। বাংলাদেশের বাস্তব শিল্প জাতীয় অর্থনীতি কর্মসংস্থানে ও উন্নয়নে মূর্খ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশের রপ্তানায়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ খাত থেকে অর্জিত হয়। আধুনিক বয়ান শিল্পের উৎপন্ন দ্রব্য গলোর মধ্যে হল। উৎপাদনের মান নিম্নমানের হওয়ার জন্য এক দশের আগেও এই শিল্পের অবস্থা ছিল খুবই করুন।
কিন্তু ২১ শতকের প্রথম দশকে বেসরকারি খাতে ব্যস্ত শিল্পের বিকাশ অনেকটাই বদলে গেছে। ২০১১ সালের দিকে প্রাথমিক বস্ত্র খাত ার রপ্তানি চাহিদার প্রায় 50 ভাগ পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশে শ্রমিকদের মজুরির হার কমাতে অনেক বিদেশী ভাইয়েরা এসে বাংলাদেশ থেকে এসব বস্ত্রশিল্প তৈরি করে নিয়ে যায়। এটা আমাদের অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়।
পাট শিল্প
পাট ও পাট শিল্প বাংলাদেশের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। এই পাখি তোকে টিকিয়ে রাখা এবং উন্নতির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া আমাদের একটি জাতীয় দায়িত্ব। কাঁচা মাল হিসেবে আমরা যেমন পার্ট রপ্তানি করি তেমনি পার যা অন্য রপ্তানি করি। পাট শিল্পের সাথে বর্তমান বাংলাদেশ প্রায় চার কোটি লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আছে। এই পাট শিল্পকে আমাদের দেশে সোনালী আঁশ বলা হয়।
প্রধানত পাটকল গুলোর নারায়ণগঞ্জ চাঁদপুর খুলনা দৌলতপুর সহ নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। পরিবহন সুবিধার জন্য এসব নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত পাট কারখানা গুলো। আমরা পাট দিয়ে ব্যাগ কার্পেট এমনকি বস্ত্র তৈরি করি। এসব কোন দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশের রপ্তানি করা হয়। পাঠানো হতো ভারত বাংলাদেশ ও চীনে জন্মায়। বাংলাদেশের অনেক জেলাতেই পার্টের উৎপাদন হয়।
বিশেষ করে ঢাকা কুমিল্লা পাবনা রাজশাহী রংপুর ময়মনসিংহ ফরিদপুর ইত্যাদি জেলায় পাটের অধিক উৎপন্ন হয়। প্রার্থী উৎপন্ন পণ্য চটের বস্তা ব্যাগ কার্পেট মসৃণ বস্ত্র রাবারের সঙ্গে পাট মিশে না দেয় শিল্পদের গোপস্থ করা হয়। এসব পাট শিল্পের তৈরি সামগ্রী বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। বাংলাদেশের গর্ব হলো পাট শিল্প একসময় এই পাড় দিয়েই বাংলাদেশের অনেক পরিচিতি ছিল।
কুটির শিল্প
যখন কোন পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়িতে বা বাড়ির বাইরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তখন তাকে কুটির শিল্প বলে। কুটির শিল্প পারিবারিক সদস্যদের মাধ্যমে এবং কোন প্রকার বিদ্যুৎ ও ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করেই মানুষ হাতের সাহায্যে এসব দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন করে থাকে সেটাই হলো কুটির শিল্প। কুটির শিল্পের ইতিহাস খুব প্রাচীন। পর্যটক ইবনে বতু তার ভ্রমণ-বিবরণী থেকে অনেকটা জানা যায় তৎকালে বাংলার পৃথিবী খ্যাত মুসলিম উৎপাদিত হতো।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ইংরেজরা অন্যান্য ইউরোপীয় বণিকরা প্রথম দিকে কুটির শিল্প উৎপাদিত্য পণ্য রপ্তানির জন্য তা তো অন্যান্য হস্তশিল্পান্নিত। পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্মচারীগণ তাপ বস্ত্র বয়ান শিল্প এবং অন্যান্য কুটির শিল্পে নির্যাতন চালায়। ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান ভাগের ফলে এই শিল্প অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই কুটির শিল্পর ব্যবসা সাধারণত হিন্দু ব্যবসায়ীদের হাতে ছিল।
১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ হয় তখন এই শিল্পপ্রকাত একেবারে ধ্বংস প্রাপ্ত হয়ে যায়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার পুলিশ শিল্পকে পুনর্গঠন ও কর্মসংস্থানের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করে। তখন কুটির শিল্পকে পুনর্গঠন করার জন্য নতুন নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বেসিক।
বৃহৎ শিল্প
বেদ শিল্প টা হল এক ধরনের বড় রকমের শিল্প প্রতিষ্ঠান এই বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানে অনেক মূলধনের প্রয়োজন হয়। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের অনেক শ্রমিক নিয়োজিত থাকে। অধিক শ্রমিক ছাড়াই সব শিল্প প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব নয়। জাতীয় অর্থনীতিতে ব্রেড শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এর গুরুত্ব অপরিসীম। ভেদ শিল্পের আপ উৎপাদিত পণ্য আমরা দেশে ব্যবহার করেই থাকে
এবং বিদেশেও রপ্তানি করেছেন বিদেশে রপ্তানি করে আমাদের বৈশিষ্ট্য মুদ্রা অর্জিত হয় এজন্য দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দিতে হয়। বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানে অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। অনেক শ্রমিকের প্রয়োজনের ফলে আমাদের দেশে অনেক বেকার তরুণ-তরুণী এসব ব্রেক শিল্প কারখানায় মিলিত হয়ে বেকারত্ব দূর করতে পারে। এসব অনুষ্ঠানে উন্নত মানের ষড়যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়।
এর জন্য এসব পণ্যের মান ভালো হয় এবং অধিক পরিমাণ এসব পণ্য আমাদের দেশে উৎপাদিত হয়। অধিক পণ্য উৎপাদন হওয়ার জন্য অধিক মুনাফা হয়। এতে দেশের অর্থনীতিতে ব্রেথ শিল্পের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশের যেসকল বের করেছে তার মধ্যে সাত সিমেন্ট ঔষধ কাগজ চিনি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের ডেঙ্গুগঞ্জ ঘোড়াশাল আশুগঞ্জ চট্টগ্রাম তারাকান্দি প্রগতি স্থানের সার কারখানা আছে।
তবুও বিদেশ থেকে আমাদের সার আমদানি করতে হয়। এছাড়াও আমাদের দেশের উন্নতমানের ওষুধ তৈরির জন্য ঔষধের কারখানা আছে। এছাড়াও আছে কাগজের কল যেসব ফলগুলোতে কাগজ তৈরি করা হয়। তিনটি সরকারি কাগজ কল রয়েছে চন্দ্রঘোনা খুলনা ও পাকশীতে। এছাড়া বেসরকারিভাবে বেশ কিছু কাগজ খালি স্থাপিত হয়েছে যা দেশের চাহিদা অনেক অংশ পূরণ করে।
তবে কিছু পরিমাণ কাগজ আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। মধ্যে আর একটা আছে চিনিকল আমাদের দেশে এসব দেশীয় চিনি উৎপাদন ও প্রসাধন করা হয়। সরকারি সিটি ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু বেসরকারি চিনিকল। তারপরে প্রতিবছর বিদেশ থেকে প্রচুর চিনি আমদানি করতে হয়।
লেখকের মন্তব্য
আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে এসব শিল্প খাতের যে সব অবদান রয়েছে তা অস্বীকার করার মত নয়। প্রতিবছর জাতীয় অর্থনীতিতে এসব শিল্প খাত থেকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের দেশের অনেক চাহিদা পূরণ করে আসছে। এসব ছোট বড় শিল্প খাতে জন্য সরকার যদি সুনজর দেয় তাহলে আরো ভালো কিছু করার সম্ভাবনা থাকবে। সেজন্য সরকার অবশ্যই এসব প্রতিষ্ঠানের দিকে সুদৃষ্টি দিবে। এসব শিল্পের ব্যাপারে সামান্য কিছু আলোচনা করেছি এই লেখাটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে একটা লাইক দিবেন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url