Post Page After Menubar Ad

ওজন কমাতে চান তাহলে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন



প্রিয় পাঠক, আমার ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। যদি আপনি ওজন কমাতে চান তাহলে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম জানার জন্য হয়তো বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন। কিন্তু কোথাও সঠিক তথ্য পাননি। আজ আমি স্টেপ বাই স্টেপ গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাবার চেষ্টা করব। আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনি পড়তে থাকুন তাহলে আপনি আপনার কাঙ্খিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে আজকের এই আর্টিকেলে। এছাড়াও আরো থাকবে গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আশা করি মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি কিভাবে খেতে হবে তা জেনে যাবেন।

ভূমিকা

ওজন কমাতে গ্রিন টি সম্পর্কে আর্টিকেলে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিভাবে এটা খেতে হবে, কিভাবে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়, আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে কিভাবে গ্রিন টি খেতে হয়। নিম্নে গ্রিন টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি আপনারা যদি সম্পূর্ণ ভালো করে পড়েন তাহলে গ্রিন টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি দেরি না করে এই আর্টিকেলটি গুরুত্ব সহকারে পড়তে থাকুন।

গ্রিন টির উপকারিতা

গ্রিন টি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এ কথা আমরা সবাই জানি। চা কফির পাশাপাশি গ্রিন টি অনেক বেশি পরিচিত সব জায়গাতে। আমরা শুধু ওজন কমাতে গ্রিন টি খেয়ে থাকি কিন্তু ওজন কমানোসহ আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এর কোন জুড়ি নেই। এবার জেনে না যাক গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতা।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

এটি খেলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এটাতে আছে কেটেচিন নামক একটি উপাদান যা ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই এর থেকেও বেশি শক্তিশালী। এজন্য আপনারা যদি গ্রিন টি খান তাহলে আপনাদের শরীরের রোগ প্রতিরোক্ষ ক্ষমতা অনেকটা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে ও এর পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অপকার পাওয়া যায়।

এলার্জির জন্য উপকারী

এটা আপনাদের শরীরে এলার্জির সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এসব চিকিৎসকরা বলেন এটা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ,উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ,হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কোমায় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

ওজন কমাতে

গ্রিন টি র আসল গুণ হচ্ছে এটা আপনার শরীরের ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটা আপনার শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে।

দাঁত ভালো রাখে

এটাতে ঢাকা ক্যাটেকাইন নামের এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনার দাঁত ভালো রাখতে সহায়তা করে। এই উপাদানটি আপনার মুখের ভিতর ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে রোধ করে। এটা আপনার গলা বিভিন্ন সমস্যা রোধ করা সহ দাঁত ভালো রাখতে সহায়তা করে।

ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে

দৈনন্দিন আমাদের কর্মব্যস্ত জীবনে ধুলাবালির কারণে ত্বকের নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন ত্বকের ব্রণ সৃষ্টি হওয়া, ত্বকের লালচে ভাব ,ত্বকের প্রবাহ ইত্যাদি। যদি আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে একটি পান করেন তাহলে এ ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায় ‌ এটি এটি নিয়মিত খেলে আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিরাময় করতে সহায়তা করে ‌

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

এটাতে আছে পলিফেনাল নামক একটি উপাদান। এই উপাদানটি আমাদের শরীরের টিউমার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং আমাদের শরীরের ক্যান্সারের খোঁজ গুলো কে মেনে ফেলতে সহায়তা করে। স্তন ক্যান্সার ও প্রোটেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে গ্রীন টি অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে চান তাহলে অবশ্যই দিনে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন।

খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়ার অপকারিতা

গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতার কথা আমরা সবাই কম বেশি কিছু না কিছু জানি। আপনি যদি সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন অন্তত এক কাপ গ্রিন টি খাওয়ার কথা বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। আপনাদের অনেকেরই একটা অভ্যাস হলো সকালবেলা খালি পেটে চা খাওয়া। সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়ার জন্য চায়ের পরিবর্তে অনেকেই গ্রিন টি খেয়ে থাকেন। 

আপনারা যে খালি পেটে গ্রিন টি খান এটা কি আসলেই ভালো? এটা কিন্তু একদমই ঠিক নয়। আপনি যদি আপনার শরীরের ওজন কমাতে চান এজন্য গ্রিন টি একটি উপকারী খাবার। এটি আপনার শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তে শর্করা পরিমাণ ঠিক রাখতে সহায়তা করে, কিন্তু আপনি যদি খালি পেটে গ্রিন টি খান তাহলে কিছুই উপকারে আসবেনা। এবার তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে গ্রিন টি খেলে আপনার কি ক্ষতি হতে পারে।

পেটের ব্যথা

গ্রিন টিতে আছে ট্যানিন উপাদান যদি আপনি এটা খালি পেটে খান তাহলে আপনার পাকস্থলীর এসিডিটির সমস্যা বাড়াবে। এজন্য আপনার পেটের ব্যাথা দেখা দিতে পারে সেই সাথে হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। আপনার পেটের অতিরিক্ত এসিডিটির জন্য বমি বমি ভাব এর সমস্যা হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ বাড়তে পারে

আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে খালি পেটে ডিমটি খাওয়া যাবে না। গ্রিনটিতে ক্যাফেইন অ্যাড্রিনাল থাকে যা আপনার গ্রন্থ গুলিকে উদ্দীপিত করে তোলে। এর জন্য আপনার বিভিন্ন ধরনের হরমোন রিলিজ করে। সেজন্য আপনার উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। যারা হৃদরোগে ভোগেন তাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটা দিক।

আয়রন শোষণের ক্ষমতা কমে যায়

যদি আপনি সুস্থ থাকতে চান তাহলে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন দরকার। কিন্তু যদি আপনি সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খান তাহলে আপনার আয়রনের শাসন ক্ষমতা অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে। অনেকে আছেন যারা রক্তশূন্যতায় ভোগেন তারা অবশ্যই গ্রিন টি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

আলসার বাড়িয়ে তোলে

যদি আপনি খালি পেটে এটি পান করেন তাহলে আপনার পেপটিক আলসার বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যাদের শরীরে এসিডিটির সমস্যা আছে তারা কখনোই সকালে খালি পেটে গ্রিন টি পান করা উচিত হবে না। আপনারা যদি খালি পেটে এটি পান করেন তাহলে আপনাদের পেটে পেপটিক আলসার ও এসিডিটির সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই সকাল বেলা খালি পেটে কখনোই গ্রিন টি পান করা যাবে না।

গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম

আপনারা যারা ওজন কমানোর জন্য চেষ্টা করছেন তারা অবশ্যই গ্রিন টি পেতে পারেন। এজন্য আপনাকে যখন খাবার খাবেন তার দুই ঘন্টা আগে এবং খাবার খাওয়ার দুই ঘন্টা পরে এটা পান করতে পারেন। ক্যাফিন এবং ক্যাটেচিন নামক উপাদান আছে গ্রীনটিতে। এই উপাদানগুলো দীপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে থাকে। আপনি যদি আপনার শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে অবশ্যই খাবার আগে এবং খাবার পরে এটি পান করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে সকালে খালি পেটে কোনোভাবেই গ্রিন টি পান করা যাবে না।

* প্রতিদিন আপনি ২ থেকে ৩ কাপ এর বেশি গ্রিন টি পান করা উচিত নয়।

গ্রিন টি তৈরীর নিয়ম

ভালো ফলাফল যদি আপনি পেতে চান তাহলে অবশ্যই এটি বানানোর সঠিক পদ্ধতি তাকে জানতে হবে। যদি আপনি এক কাপ গ্রিন টি তৈরি করতে চান এজন্য আপনাকে এক চা চামচ অথবা পাঁচ গ্রাম গ্রিন টি নিতে হবে। এরপর আপনাকে পানি নির্দিষ্ট পরিমাণে ফুটিয়ে নিতে হবে। পানি গরম থাকা অবস্থায় এটাতে গ্রিন টি দিয়ে দিন। এভাবে পাঁচ মিনিট গরম পানির সাথে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন এরপর এটি থেকে পান করুন।

লেখক এর মন্তব্য

গ্রিনটি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী একটা পানীয় এ সম্পর্কে কারো কোন সন্দেহ নাই। তবে প্রত্যেকটা জিনিসের খাবার আগে অবশ্যই এর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জেনে খাবার চেষ্টা করতে হবে। আজকেরে আর্টিকেলে এর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনার শরীরের ওজন কমাতে হলে প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি পান করতে হবে তবে মোটেও এর থেকে বেশি পান করা উচিত নয়। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বেশ উপকৃত হয়েছেন। আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইট টি নিয়মিত ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে ‌।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url