Post Page After Menubar Ad

ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখুন



প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম,আপনারা কেমন আছেন আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে ইলিশ মাছ সম্পর্কে বা এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ইলিশ মাছের উপকারিতা সম্পর্কে হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন কিন্তু যারা জানেন না, তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। আশা করি আপনারা মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি পড়লে ইলিশ মাছ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বাঙ্গালীদের কাছে ইলিশ একটি জনপ্রিয় মাছ। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে ইলিশ মাছের নাম শুনলে জিভে পানি চলে আসে। ইলিশ মাছ আমাদের গৌরবের প্রতিক এবং অর্থনীতির সহায়ক শক্তি বটে। এই মাছ যেমন সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরা।

ভূমিকা

বাঙালি সংস্কৃতির সাথে ইলিশ মাছ জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। বেশিরভাগ মানুষ ইলিশ মাছ খেতে অনেক পছন্দ করে। এই মাসে যেমন পুষ্টিগুণে ভরা আবার তেমনি স্বাদেও অতুলনীয়। প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি আছে এই মাছে। এছাড়াও এই মাছে আছে ফসফরাস, জিংক, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। নিম্নে এই মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নিন।

ইলিশ মাছের উপকারিতা

ইংলিশে সোডিয়াম, জিংক, পটাশিয়াম, আয়োডিন এবং প্রচুর পরিমাণে মিনারেল আছে। আয়োডিন থাইরয়েড গ্লান্ডকে সুরক্ষিত রাখে ও বিভিন্ন এনজাইম নির্গত হতে সহায়তা করে। যা আমাদের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। ইলিশ থেকে আমরা যে মিনারেল পাই তা আমাদের শরীরের ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম আর গঠনে সাহায্য করে। ইলিশ মাছ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। ইলিশ মাছে আছে ভিটামিন এ এবং ওমেগা থ্রী ফ্যাটি এসিড যা আমাদের চোখের জন্য বেশ উপকারী।

চোখ ভালো রাখে

এই মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন এ থাকে বলে আমাদের চোখের সুস্থতা বজায় রাখে। এই মাস যদি আমরা নিয়মিত খাই তাহলে আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং চোখ উজ্জ্বল হয়। বৃদ্ধ বয়সে দৃষ্টিশক্তি ভিন্ন হয়ে আসার মোকাবেলা করতে পারে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড।

খনিজ উপাদান

এই মাসে আছে জিং পটাশিয়াম ও আয়োডিন যা আমাদের থাইরয়েড গ্ল্যান্ডকে সুস্থ রাখে আয়োডিন। এছাড়াও এই মাসে আছে খনিস বিশেষ করে খসফরাস দাঁত এবং ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড়ের পুষ্টির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই মাসে আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, লৌহ যা আমাদের স্বাভাবিক শরীরকে বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।

ওমেগা থ্রি ফাটি এসিড

আমাদের দেহের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ অমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। এটা আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। এই ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিডের কারণে আমাদের চুল স্বাভাবিক থাকে। ইলিশ মাছ একটি সামুদ্রিক মাছ এই মাসে আছে আয়োডিন, যা আমাদের গলার গলগন্ড রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়ত করে। এই মাসে আছে ভিটামিন ডি, যা অন্যান্য মাসে খুব কমই পাওয়া যায়। ইলিশ মাছের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই ভিটামিন ডি পেয়ে থাকি।

হার্টের জন্য ভালো

এই মাসে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকায় রক্তে কোলেস্টরের মাত্রা কম থাকে। সমুদ্রের মাছ ইলিশে চর্বি সাধারণত কম থাকে ফলে আমাদের হার্টকে সুস্থ। এই মাছ আমাদের রক্তনালীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে ইপিএ ও ডি এইচ এ নামক ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে। এজন্য ইলিশ মাছ খেলে আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন খুব ভালো হয়।

পুষ্টিগুণ

প্রতি ১০০ গ্রাম ইলিশে প্রায় ২১. ৯ গ্রাম প্রোটিনের পাশাপাশি আছে ২০৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ২.২ গ্রাম খনিজ ও ২০.৫ গ্রাম চর্বি, আরো আছে উচ্চ পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ট্রিপ্টোফ্যান,নায়সিন, ভিটামিন বি ১২, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম সহ অন্যান্য ভিটামিন।

অপকারিতা

এই মাসে যেমন উপকারিতা আছে তেমনি এর কিছু অপকারিতা ও আছে। এই মাসের জন্য অনেকেই এলার্জির সমস্যা হতে পারে। যে সকল ব্যক্তির এলার্জির সমস্যা আছে তারা এই মাছ এড়িয়ে চলবেন। যাদের এলার্জির সমস্যা নেই এবং গ্যাসের সমস্যা হয় না তারা অবশ্যই খাদ্য তালিকায় ইলিশ মাছ রাখতে পারেন। এতে আপনার স্বাস্থ্য ভালো হবে। তাই চেষ্টা করবেন খাদ্য তালিকায় ইলিশ মাছ রাখতে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে যাদের কিডনির ক্রনিক সমস্যা আছে এবং এই মাছ খেলে কিডনির সমস্যা বাড়তে পারে তাই যাদের কিডনির সমস্যা আছে তারা অবশ্যই ইলিশ মাছ এড়িয়ে চলবে।

লেখকের মন্তব্য

আমরা মাছের হাতে বাঙালি। ইলিশ মাছের নাম শুনলেই তো জিভে জল চলে আসে। এই মাছের  উপকারিতা সম্পর্কে এবং পুষ্টিগণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। যদি কোন মতামত থাকে আপনাদের তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। পরবর্তীতে সেসব বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই একটা লাইক দিবেন এবং অন্যরাও যেন জানতে পারে সেজন্য আপনার বন্ধুদের মাঝে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।










এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url