বায়ু দূষণের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন
জীবনের জন্য বায়ু খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বায়ু ছাড়া আমাদের জীবন এক মুহূর্ত বেঁচে থাকতে পারিনা। উদ্ভিদ বায়ুর কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সাহায্যে খাদ্য তৈরি করে। সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর প্রায় ৩. ৫ মিলিয়ন মানুষ বায়ু দূষণের ফলে মারা যায়। আমরা বিভিন্ন কাজে কাঠ কেরোসিন ব্যবহার করি এসব কাঠকুলেশনের ধোঁয়া থেকে শ্বাস নেওয়ার ফলে অনেক রোগের শিকার হই।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য বায়ুর প্রয়োজন। এছাড়াও দৈনন্দিন নানা কাজে মানুষ বাস ব্যবহার করে থাকে। বায়ু দূষণ সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না। যারা জানেন না তাদের জন্য আজকে এই বিস্তারিত আলোচনা করব।
ভূমিকা
বায়ু আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটা ছাড়া আমরা বেঁচে থাকতে পারিনা। মানুষের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ফলে বায়ু দূষিত হচ্ছে। কলকারখানার কালো ধোয়ার ফলে বাই দূষিত হচ্ছে। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ও মলমূত্রত্যাগের কারণে অনেক দুর্গন্ধ ছড়ায় এ থেকেও বায়ু দূষিত হয়। ভাইপোয়া সরকার ঘোরাতে পারে এসব চরকা ঘুরিয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে আমরা উৎপাদন করতে পারি।
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার রয়েছে। যেমন আমরা ভেজা জামাকাপড় বাহিরে রেখে শুকিয়ে নিতে পারি বায়ুর মাধ্যমে। বায়ু দূষণ রোধ করতে আমাদের প্রত্যেককেই সচেতন হতে হবে। আমরা যদি যার যার জায়গা থেকে একটু সচেতন ভাবে কাজ করি তাহলে এই বায়ু দূষণ থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি।
বায়ু দূষণের কারণ
মানুষের বিভিন্ন কর্মকান্ড বায়ু দূষণের একটি বড় কারণ । বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস নির্গত হয়। কলকারখানা ও যানবাহনের থেকে সকল গ্যাস বায়ুতে আসে। গাছপালা পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন ধোঁয়া থেকে বায়ু দূষিত হয়। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা ও মলমূত্র ত্যাগের কারণে বাড়িতে দুর্গন্ধ ছাড়া এবং বায়ু দূষিত হয়।
সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের বাড়িঘরে জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করে এর থেকে শ্রেষ্ঠ দোয়া মানুষকে অসুস্থ করে তোলে অনেক সময় আহত বা পুড়েও যায়। অনেক সময় আমরা জ্বালানি হিসেবে কয়লা ব্যবহার করি। এই বিপদজনক কয়লা পোড়ানোর ফলে অনেক দূষণ বের হয় যার মধ্যে নাইট্রোজেন অক্সাইড কার্বন-মনোক্সাইড ইত্যাদি থাকে। সৃষ্ট এসব পোড়ানোর ফলে আমাদের বায়ু অনেক দূষিত করে।
এ সকল গ্যাস দায়িত্ব বেড়ে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও এসিড বৃষ্টি হচ্ছে। কাল কারখানার দোয়া থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের গ্যাস মেঘের সাথে মিশে যাওয়ার ফলে এসিড বৃষ্টি তৈরি হয়। এসিড বৃষ্টির ফলে জীবের ক্ষতি হতে পারে এবং জীব মারা যেতে পারে।আবার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এই বায়ু দূষণ। এর ফলে মানুষের শরীরে ফুসফুসের ক্যান্সার সাত জনিত রোগ হৃদ রোগ সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। পরিবেশের উপরেও বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে।
বায়ুর প্রবাহের ব্যবহার
বায়ু প্রবাহ চরকা ঘোরাতে পারে। বায়ু প্রবাহের সাহায্যে এভাবে বড় চরকা বা টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। দৈনন্দিন জীবনে বায়ু প্রবাহে নানা বিদ ব্যবহার রয়েছে। যেমন বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে তখন আমরা জামা কাপড় কিভাবে শোকাবো এজন্য আমাদের ঘরের ভিতরে ভেজা জামাকাপড় রেখে বা তার বা রশি উপর ছড়িয়ে দিয়ে ঘরের ভিতরে বায়ু সৃষ্টি করে তা খুব তাড়াতাড়ি শুকাতে পারে।
বায়ু প্রবাহ খুব তাড়াতাড়ি পানি শুষে নিতে সাহায্য করে। এবং ঘরের ভিতরে আমরা বৈদ্যুতিক পাখা চালিয়েও বায়ু প্রবাহ সৃষ্টি করে জামাকাপড় দূরত্ব শুকিয়ে নিতে পারি। আবার অনেক সময় আমরা ভেজা কাপড় শুকানোর জন্য খোলা জায়গায় বাতাসে মেলে রাখি। আবার ভেজা চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ারের বায়ু প্রবাহ ব্যবহার করি।
বায়ুর ব্যবহার
আমরা ফুটবল, গাড়ি ,রিক্সা, বা সাইকেলের টায়ার ইত্যাদি খোলার জন্য বায়ু ব্যবহার করে থাকি। এছাড়া মানুষ বায়ুর উপাদান গুলোকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে। শ্বাসকষ্টের রোগী ডুবুরি এবং পর্ব ত আরোহী অক্সিজেন সিলিন্ডারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। ইউরিয়া সার তৈরিতে এবং প্যাকেট বাট টিনের টিনের কৌটায় বিভিন্ন খাদ্য যেমন মাছ মাংস চিপস ইত্যাদি সংরক্ষণে বায়ুর নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়।
আবার বিভিন্ন কোমল পানীয়তে ভাব ধরে রাখার জন্য কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয়। আগুন নিভানোর জন্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রেও কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয়। এভাবেই বায়ু মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বায়ু দূষণ প্রতিরোধ
বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করতে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। জলপাই পরিবর্তন এর করণীয় সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। বায়ু দূষণ রোধে জলবায়ু পরিবর্তন একসঙ্গে সবাইকে কাজ করে যেতে হবে। ঘরের বাহিরে আমরা মার্কস ব্যবহার করে বায়ু দূষণ রোধ করতে পারি। বিভিন্ন কলকারখানার ধোঁয়া তুমি আনলে বায়ু দূষণ রোধ করা যায়। উন্নত মানের জালালী ব্যবহার করেও বায়ু দূষণ রোধ করা যায়।
প্রচুর বৃক্ষরোপণ করা কারণ বৃক্ষ বায়ু দূষণ প্রতিরোধে অনেক ভূমিকা রাখে। অনেক জায়গায় নির্মাণ কাজ করা হয় সেগুলো সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাতে সেখান থেকে বায়ু দূষণ না ঘটে। খরা মৌসুমী অনেক শহরগুলোতে ধুলি বালির কারণে বায়ু দূষিত হয় এজন্য আমরা পানি সেটানোর ব্যবস্থা করলে এ থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। অনেক জায়গায় নির্মাণ কাজ হয় সেসব জায়গায় বিভিন্ন সামগ্রী রাখা হয়।
এ থেকেও বায়ু দূষণ হতে পারে এগুলো আমরা নির্দিষ্ট স্থানে ঢেকে রাখলে তা থেকে আমরা পরিত্রাণ পেতে পারি। আবার অনেক অবৈধ ইটভাটা আছে এগুলো বন্ধ করে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ইট তৈরি করা গেলে এ থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি।। এছাড়াও আমরা গাছপালা লাগানো বাড়ির ছাদে গাছ লাগানো বিভিন্ন জলাধার সংরক্ষণ করে বায়ু দূষণ রোধ করতে পারি।
লেখকের মন্তব্য
আমাদের দেশে যেখানে সেখানে ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এসব ইটভাটায় আশেপাশের জমি থেকে মাটি কিনে নিয়ে যাচ্ছে এসব ভাটা ইট করানোর ফলে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। এসব কালো ধোয়ার ফলে আশেপাশের এলাকায় বায়ু দূষিত হচ্ছে। বায়ু দূষণের ফলে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় এক লাখ বিশ হাজার মানুষও ভারত ও চীনে মারা গেছে প্রায় ১৩ লাখ মানুষ। এই লেখাটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে একটা লাইক দিবেন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url