Post Page After Menubar Ad

পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি ও পেঁপের চারা লাগানোর সঠিক সময়





পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে আজ বিস্তারিত আলোচনা করবো । আমরা এখন আমাদের দেশে বানিজ্যিক ভাবে পেঁপে চাষ করে থাকি । প্রথমে উর্বর দো আঁশ মাটি বা জমি বেছে নিতে হবে । এর পর ভালো করে চাষ দিয়ে জমিতে ডলো চুন ছিটিয়ে আবার চাষ দিতে হবে । এর পর জমি কয়েক দিন ফেলে রাখতে হবে । আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁপে চাষ না করার ফলে পেপের ফলন আশা অনুযায়ি পাচ্ছি না । 


 

পেপের চারা লাগানোর সঠিক সময় মার্চ মাস বা এপ্রিল মাস । চারা লাগাতে হলে আপনাকে প্রথমে বীজ চারা তৈরি করতে হবে । সবচেয়ে ভালো হয় পলিথিন ব্যাগে বীজ তৈরি করা । আমরা যখন বীজ লাগাই
তার ১৮ -- ২২ দিন পর বীজ থেকে চারা বের হয় । এর পর এগুলো জমিতে লাগান হয় । 

ভূমিকা


পেঁপে একটি অর্থকারী ফসল ও জনপ্রিয় একটি ফল। এটা অনেক ঔষধি গুনাগুন আছে। প্রথমে আপনাকে ২০ থেকে চারা তৈরি করতে হবে এবং সেই চারা বড় হলে জমিতে রোপণ করতে হবে। এছাড়া লাগানোর সঠিক সময় মার্চ মাস বা এপ্রিল মাস। যেসব জমিতে পেঁপের চারা লাগাবেন হিসাব জমিতে অবশ্যই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে জাতির জমিতে পানি জমে না যায়। চালানোর পর জমিতে জিপসাম সালফার পটাশ ফসফেট ইত্যাদি সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছের পাতা যদি হলুদ হয়ে যায় অবশ্যই আপনাকে ১৬ পর ব্রণ স্প্রে করতে হবে অথবা ইউরিয়া সার দিতে হবে। পেঁপে গাছের গোড়া পাষন্ডদের জন্য আপনাকে ভাবিস 3 অথবা নয়ন পাউডার স্প্রে করতে হবে। তরল জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন ট্রপিকোনাজল জাতীয় বিশ স্প্রে করতে হবে

পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি


পেঁপে একটা ক্যারিক্যাসি জাতীয় ফল । বাংলাদেশ তথা অনেক দেশে এই পেঁপে একটা জনপ্রিয় ফল । পেঁপে একটা অর্থকরী ফসল ও ঔষধি গুনা গুন ফল হিসাবে জানি । আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁপে চাষ করতে হলে আপনাকে ভালো বীজ থেকে চারা তৈরি করতে হবে । এজন্য আপনি কৃষি বিদ দের পরামর্শ নিতে পারেন । প্রথমে আপনাকে চারা তৈরি করে নিতে হবে। এজন্য আপনাকে ভালো বীজ বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হবে ।

আপনার যদি আগের পেঁপের বাগান থাকে, সে বাগান থেকেও আপনার পেঁপের বীজ সংগ্রহ করে রেখে দিতে পারেন। সেই বীজ ভালো করে শুকিয়ে সংগ্রহ করে বাড়িতে রেখে দিবেন। ছোট ছোট পলিথিন ব্যাগে ঝুরঝুরে মাটি ভরে সেই পলিথিন ব্যাগের ভিতর বীজ রোপন করতে পারেন। বীজ রোপন করার পর ৩৫ থেকে ৫০ দিন পর চারা লাগানোর উপযোগী হয়। পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতিতে যদি আপনি ভাল সফলতা পেতে চান তাহলে বীজ ও চারা লাগাবার উপযুক্ত সময় মার্চ মাস অথবা এপ্রিল মাস ।

 এ সময় আপনি চারা লাগালে ভালো ভালো ফল পেতে পারেন। চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় হল বিকেল বেলা।চারা লাগানোর উপযোগী হলে প্রতিটি গর্তে আপনাকে তিনটা চারটা করে চারা রোপন করতে হবে। যখন পেঁপে গাছে ফুল আসবে একটি ভালো স্ত্রী গাছ রাখতে হবে এবং বাকিগুলো কেটে ফেলতে হবে। পেঁপের বাগানে কমপক্ষে 8 থেকে 12% পুরুষ গাছ রাখতে হবে।

পেঁপের চারা লাগানোর সঠিক সময়


পেঁপের ছাড়া লাগানোর সঠিক সময় হল মার্চ মাস অথবা এপ্রিল মাস। পেঁপের ছাড়া যখন এর বয়স ৩৫ থেকে ৫০ দিন হবে তখন এটি জমিতে লাগাতে পারেন। এটার জন্য যে জমি নির্বাচন করবেন সে যেন অবশ্যই উঁচু জমি হতে হবে। যে জমিতে পানি জমে থাকে সে জমিতে পেঁপে চাষ হবে না বা ভালো হবে না। যদি পানি জমে থাকে সে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন এর ব্যবস্থা করতে হবে।পেঁপের চারা যখন লাগাবেন তখন অবশ্যই পেঁপের যে পলিথিনে ছাড়া থাকবে। 

 সেই পলিথিন ব্লেড দিয়ে কেটে পলিথিন ফেলে দিতে হবে এবং বাকি জমির সাথে এই চারার মাটি মিশে একবারে সমান করে জমিতে রোপন করতে হবে। চারা যে লাইন দিয়ে লাগাবেন সেই লাইন অবশ্যই দুই দিক থেকে মাটি তুলে একটু উঁচু রাখতে হবে। জমির মাটি এমন ভাবে দুই পাশে উঁচু করতে হবে যাতে উঁচু করা মাটির মাঝখানে একটা নালা থাকে সেই নালা দিয়ে পানি তাতে নিষ্কাশন করা যায়। গাছে ফল আসার মত সময় হলে অবশ্যই গাছের গোড়ায় খুঁটি দিতে হবে।


পেঁপে গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি


পেঁপে গাছের জমিতে চারা লাগানোর আগেই জমিতে কিছু জিপসাম, সালফা্‌ পটাশ, ফসফেট ইত্যাদি সার পরিমাণ মতো দিয়ে চাষ করে নিতে হয়। পেঁপের জমিতে যদি আপনি সার দিতে চান তাহলে এর জন্য কিছু নিয়ম কানুন আছে। এমন অনেক সার আছে যেগুলো জমিতে প্রয়োগ করলে পেঁপে গাছের দ্রুত ফুল ও ফল আসে। পেঁপের জমিতে অবশ্যই ঘোড়ার দিকে সার ছিটিয়ে দিতে হবে।

বিশেষ করে গাছের গোড়াতে ডিএপি সার ও পটাশ সার এগুলো খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। অনেক সময় দেখা যায় যে পাতা হলুদ হচ্ছে ফুল আসছে না সে ক্ষেত্রে আপনি ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে পারেন। ইউরিয়া সার ভিজিয়ে স্প্রে করতে পারেন এবং গাছের গোড়াতেও দিতে পারেন। গাছ যখন বড় হবে তখন সারের পরিবর্তে সরিষার খৈল দিতে পারেন।

পেঁপে গাছের পাতা হলুদ হলে করনীয়


পেঁপে গাছের পাতা যখন হলুদ হবে তখন বুঝতে হবে এটা ভাইরাস আক্রমণ করেছে। এজন্য আপনাকে বোরন দিতে হবে এক গ্রামসলুবর বোরন এক লিটার পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। পাতা যখন হলুদ হবে বা উপড়ে যাবে এতে আপনার ফলন অনেক কমে যাবে। এতে চাষী ভাইরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। জমিতে ইউরিয়া সারের অভাব হলে পানির অভাব হলে গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায়।

পাতাগুলো যদি হলুদ হয়ে যায় তখন আপনাকে বুঝতে হবে এই জমিতে সালফারের ঘাটতি আছে। তখন আপনাকে জমিতে থিওবিট কুমুলাশ জাতীয় সালফার সমৃদ্ধ সার ছিটিয়ে দিতে হবে। না হলে আপনে পাতা স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। পাতা যদি হলুদ ও সবুজ রং থাকে বা পাতা কোকড়ানো থাকে তখন এটা তা বুঝতে হবে যে জমিতে ভাইরাসের আক্রমণ হয়েছে। এজন্য আপনাকে ইন্দফিল অথবা ডাইথেন জাতীয় বিষ স্প্রে করতে হবে

পেঁপে গাছের গোড়া পচা রোগ


পেঁপে গাছের গোড়া পচন রোধের জন্য বাভিস্তিন , নয়ন পাউডার স্প্রে করতে হবে। তরল জাতীয় ছত্রাক নাশক পপিকোনাজল জাতীয় বিষ বার বার স্প্রে করতে হবে। পেঁপে গাছের গোড়া পাচন রোগ খুব মারাত্মক এই রোগে আক্রান্ত হলে জোর গাছের গোড়া সম্পূর্ণ পচে যায় এবং আস্তে আস্তে গাছটা মরে যায়। এ ধরনের অবস্থা হলে অবশ্যই আপনাকে আক্রান্ত যে গাছ হবে সেই গাছকে তুলে ফেলতে হবে।

আক্রান্ত গাছ তুলে ফেললে ওর ঘোড়ার দিকে ভাবিস তিন অথবা নয়ন পাউডার ২ গ্রাম হারে গোড়ায় ভালো করে স্প্রে করতে হবে যাতে অন্য গাছ আক্রান্ত না হয়। এই রোগ সাধারণত বর্ষা মৌসুমে দেখা দেয় আক্রান্ত গাছ ঘোড়ার দিকে পচে যায় এবং একটু বাতাস হলেই সেই গাছ ভেঙে যায়। এটা দমন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই রগাকান্ত যেসব গাছ আছে সেগুলো তুলে ফেলতে হবে। গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য আপনাকে ভালো জাতের চারা রোগমুক্ত ছাড়া রোপন করতে হবে জমি অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

লেখকের মন্তব্য


পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিভাবে পেঁপের চারা লাগাতে হয় পেঁপের সার প্রয়োগ করতে হয় । পাতা হলুদ হলে কি কি করণীয় আছে সেগুলোর দমন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। কিভাবে গোঁড়া পচন রোধ করা যায় সেগুলোর বিস্তারিত আলাপ করেছি। যদি আপনার এই লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই একটা লাইক দিবেন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url