Post Page After Menubar Ad

পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন



প্রিয় পাঠক, পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের যদি জানা না থাকে, তাহলে আজকের এই আর্টিকেল মাধ্যমে জেনে নিন । আমরা সবাই পটল খেয়ে থাকি কিন্তু কিভাবে খেলে আপনার শরীরের উপকার হয় সে সম্পর্কে আপনাদের ধারণা নাও থাকতে পারে। সেজন্য আমি আজকে আপনাদেরকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আপনারা মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
যদি আপনারা এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন, তাহলে পটলের উপকারিতা ও পটলের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে। আশা করি আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন।

পটলের উপকারিতা

পটল আমাদের দেশে খুব পরিচিত একটি সবজি। পটলের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ অনেক। পটল একটা শুধু সবজিই নয় এর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দারুন কার্যকর ভূমিকা আছে। পটলের বিভিন্ন রকমের উপাদান আছে তার মধ্যে ক্যালসিয়াম ও এন্টিঅক্সিডেন্ট অন্যতম। আপনি নিয়মিত পটল খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও পটলের পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এই সবজিটির সবার কাছে পছন্দের। চলুন এবার জেনে নেই এর কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।

কোলেস্টেরল কমাতে

পটলের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে বলে এটি আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। এই সবজিটি আপনারা সবাই খেতে পারেন। আপনাদের মধ্যে যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তারা যদি নিয়মিত পটল খান তাহলে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে

আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষেরই প্রায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা যায়। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের খাদ্যাভাসে ফাইবার জাতীয় খাদ্য এর পরিমাণ কম রাখি। অধিকাংশ সময়েই আমরা ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশি খাই। এর জন্য আমাদের হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয় না। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। আপনারা যদি নিয়মিত পটল এবং পটলের বিচি খেতে পারেন তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর হবে।

হজম শক্তি বৃদ্ধিতে

আমরা সবাই জানি যে যার হজম প্রক্রিয়া ভালো তার শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। হজম শক্তির উপর আপনার শরীরের ভারসাম্য নির্ভর করে থাকে। আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাই তা হজম হয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পৌঁছায়। যখন কোন খাবার খাওয়া হয় যদি আপনার শরীরে ভালো করে হজম হয় তাহলে খাদ্যের সারাংশ আপনার শরীরের দেহের সমস্ত অঙ্গ-প্রতঙ্গে পৌঁছায়। যদি আপনি নিয়মিত পটল খান তাহলে আপনার হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে।

মাথাব্যথা দূর করতে

পটলের পুষ্টি গুনাগুন বা ওষুধি গুণ অনেক। যদি আপনার কখনো মাথা ব্যাথা হয় তাহলে হোটেলের রস মাথায় নিলে মাথা ব্যথা দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও পটলের রস আপনার চুলে নিয়মিত ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে।

ওজন নিয়ন্ত্রনে

পটলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে বলে একটি বেশি পরিমাণে খেলেও আপনার ওজন বাড়বে না। যদি আপনার ওজন বেশি থাকে আর যদি নিয়মিত পটল খান তাহলে আপনার ওজন স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে। পটল খাওয়ার সাথে এর বেশিও খাবেন কারণ এফডিসিতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে আপনার শরীরে কোলেস্টোরেল ও চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

ত্বক ভালো রাখতে

আপনারা যদি নিয়মিত পটল খান তাহলে সহজেই ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণ গুলো এড়ানো সম্ভব। কারণ পটলের মধ্যে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি রয়েছে। এই দুই ধরনের পুষ্টি আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ভিটামিন সমৃদ্ধ

আমাদের শরীরে সুস্থতার জন্য ভিটামিনের প্রয়োজন পড়ে। যদি শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যদি আপনারা নিয়মিত পটল খান তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হবে না। কারণ হোটেলে আছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। এই সবজিটি আপনাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।

পটলের অপকারিতা

পটল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। পটলের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা রয়েছে। এর কিছু অপকারিতা গুলি হল-

* ফটো লে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে বলে এটা হজম করতে একটু সময় লাগে। তাই যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের অবশ্যই কম পরিমাণে পটল খাওয়া উচিত।

* পটলের খোসায় সোলানাইড নামক একটি বিষাক্ত পদার্থ থাকে। যদি আপনারা বেশিক্ষণ ধরে একটা সংরক্ষণ করেন তাহলে এর গায়ে সোলানাইডের এর পরিমাণ বেড়ে যায়। যদি আপনারা বেশি পরিমাণে পটল খান তাহলে বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, ডায়রিয়া ,এমনকি পেট ব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।

* যদি পটলের অপকারিতা গুলো রাখতে চান তাহলে সঠিকভাবে পটল সংরক্ষণ করুন। পটল রান্না করার আগে এর খোসা ছাড়িয়ে নিন। এছাড়াও পটল যখন রান্না করবে। বা ভাজবেন তখন কম তেল দিয়ে রান্না করা উচিত।

পটলের পুষ্টিগুণ

পটলের পুষ্টিগুণ কি পরিমান তা আমরা অনেকেই জানি না। এই সবজিটি আপনার শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। নিম্নে পটলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

প্রতি ১০০ গ্রাম পটলের মধ্যে আছে

* খাদ্য শক্তি ৩২ কিলো ক্যালরি

* ফাইবার ৩ গ্রাম

* আমিষ ২.৫ গ্রাম

* লোহা ১.৮ মিলিগ্রাম

* ভিটামিন এ ২৫৬ আই ইউ

* শর্করা ৪.২ গ্রাম

* ভিটামিন সি ৩০ মিলিগ্রাম

* ক্যালসিয়াম ২৯ মিলিগ্রাম

* ফসফরাস ৪১ মিলিগ্রাম

* পটাশিয়াম ৮৪ মিলিগ্রাম

* চর্বি ০.৭ গ্রাম

পটলের পাতার উপকারিতা

পটলের যেমন অনেক উপকারিতা আছে তেমনি এর পাতার রয়েছে অনেক গুণাগুণ। পটলের পাতার নিয়মিত খেলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় হয়। পটলের কাতার রস আপনার শরীরের ক্ষতস্থান ছাড়াতে সহায়তা করে এবং নিয়মিত আপনার মাথায় মাখলে আপনার টাক সমস্যা তে কাজে দেয়। বর্তমান সময়ে পটলের পাতা দিয়ে অনেক ধরনের ওষুধ তৈরি করা হয়ে থাকে।

পটলে কি কি ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়

পটলের উপকারিতা অনেক। এই শব্দটির মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। যেমন ভিটামিন এ ভিটামিন সি ইত্যাদি। এছাড়াও আরো রয়েছে ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল ও ফাইবার।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে খুব উপকৃত হয়েছেন। আর্টিকেলটি পরে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন, যাতে আপনার বন্ধুরাও এ সম্পর্কে জানতে পারে।

আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন। যদি কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। পরবর্তীতে শেষের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url