Post Page After Menubar Ad

মিশরের পিরামিড সম্পর্কে অজানা ইতিহাস ও অমীমাংসিত রহস্য



মিশরের পিরামিড পৃথিবীর সপ্তাশ্চযের মধ্যে একটি । বিশেষ নির্মাণ শিল্পের আশ্চর্য স্থাপনা হল পিরামিড । আজও মানুষ মিশরের পিরামিড ও তাহার নির্মাণ শৈলী নিয়ে বছরের পর বছর ধরে অনেক গবেষণা করে যাচ্ছে । কায়রো শহরে সব চেয়ে বেশী পিরামিড দেখা যায় । সবচেয়ে বড় মিশরীয় পিরামিড গিজায় অবস্থিত তাহার নাম খুকুর পিরামিড । এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পিরামিড হিসাবে ধরা হয় ।


মিসরে ছোট বড় মিলে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টি পিরামিড আছে । বড় পিরামিড হিসাবে ধরা হয় খুকুর পিরামিডকে , এটি তৈরি হয়ে ছিল প্রায় ৫০০০ বছর আগে । এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ২০ বছর এবং ১ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে এটি তৈরি করে ছিল ।

ভূমিকা

মিশরের পিরামিড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হল । পিরামিডের কথা হলে আমরা সাধারনত বুঝি মিশরের পিরামিডের কথা । পৃথিবীর বড় বড় পিরামিড গুলো এই মিশরে অবস্থিত । সবচেয়ে বড় পিরামিড মিশরের গিজায় আবস্থিত এটা খুকুর পিরামিড নামে সবাই জানে । রহসে ঘেরা এই পিরামিড গুলো তৈরি করতো তখনকার রাজা বাদশারা । প্রাচীন মিশর শাসন করতো তাদের নাম ছিল ফারাও । তারা মনে করতো তাদের মৃত্যুর পর তাদের দেহ যদি সংরক্ষন করা হয় তারা স্বর্গে বাস করবে । এজন্য তাদের মৃত্যুর পর দেহ গুলো মমি করে পিরামিডে সংরক্ষন করা হতো ।

পিরামিড সম্পর্কে অজানা তথ্য

মিশরের পিরামিড আজও মানুষের কাছে রহস্যে ঘেরা । এই পিরামিড তৈরিতে এমন কিছু পাথর ব্যবহার করা হয়েছে যাহার ওজন দুই থেকে ২৫ টন পর্যন্ত। এই পিরামিড একটি জ্যামিতিক আকৃতি যার গঠন বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে ত্রিভুজ আকৃতির এবং এর উপরে তা একসাথে মিলিত হয়।। এই পিরামিডের মধ্যে সবচেয়ে বড় হল গিজার পিরামিড যা কুকুর পিরামিড হিসাবে মানুষ চেনে। 

এটি তৈরি করা হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ বছর আগে। এই পিরামিডের উচ্চতা প্রায় ৮৮২ ফুট। এটা ৭৬০ বর্গফুট জমির উপর অবস্থিত। পিরামিড গুলো তৈরি করা হয়ে থাকে সাধারণত বিশাল বিশাল পাথর দিয়ে। একটা পাথরের উপর আর একটা পাথর দিয়ে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছিল যাতে কোন ফাক না থাকে। এসব পাথর সংগ্রহ করা হয়েছিল দূর দুরান্তের পাহাড় থেকে।

পাথরগুলো জোড়া দিয়ে একটার উপর একটা বসিয়ে এই পিরামিড নির্মাণ করা হতো। কোন আধুনিক প্রযুক্তির ছাড়াই এত বড় কাঠামো প্রাচীন মিশরের রা কিভাবে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল এবং তাদের উদ্দেশ্য কি ছিল সে সম্পর্কে আয়োজন মানুষ জানে না। মিশরীরা বিশ্বাস করত মৃত্যুর পরেও মানুষের একটি জীবন থাকে সে জীবন অনন্ত। 

মৃত্যুর পরে তাদের দেহগুলো সংরক্ষণ করে শান্তির জীবন পেতে তৎকালীন রাজাদের সময় করা হতো সেই সব নির্মিত পিরামিড গুলোতে। মৃত্যুর পরে অনেক রাজা-বাদশাদের দেহকে মমি করে সংরক্ষণ করা হতো। আবার অনেকেই এই মমির পাশে ধন রত্ন এবং তার ব্যবহার করা জিনিসপত্র রেখে দিত।

পিরামিড এর ইতিহাস

পিরামিড হলো পৃথিবীর সপ্তাচার্যের একটি। এর ভিতর রয়েছে নানা রকমের চিত্রলিপি , ছবি, ধর্ম সংগীত দেয়ালে খোদাই করা প্রাচীন কিছু লিপিবদ্ধ এ সম্পর্কে সঠিক জানার চেষ্টা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এটুকু জানা গেছে পাথরের সাথে পাথর জোড়া দিয়ে নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছিল এসব পিরামিড। এগুলো তৈরিতে কোন ফাক ছিল না। এক সময় মিশর শাসন করত ফেরাউনরা তাদের কবর দেওয়ার জন্যই এই পিরামিড গুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। 

ছোট-বড় মিলে প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি পিরামিড আছে। অতীতেও বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা পিরামিড তৈরি করা হয়েছে। আমরা সাধারণত পিরামিড বললেই বুঝি মিশরের পিরামিডের কথা। সব ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়াও এটি নির্মাণ ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। এই পিরামিড গুলো এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছিল একটি পাথরের উপর আরেকটি পাথর দিয়ে এমনভাবে করা হয়েছিল যাতে বাহির থেকে কোন প্রাণী বা কোন আদ্রতা প্রাণীদের ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে।

পিরামিডের অমমাংসিত রহস্য

ফারাও রাজারা প্রাচীন মিশর শাসন করত। এসব ফারাও রাজাদের কবরের উপর নির্মিত সমাধি হলো পিরামিড হিসেবে পরিচিতি। ফারাও রাজারা ছিল প্রাচীন মিশরের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা। তারা বিশ্বাস করত মৃত্যুর পরে তাদের পরবর্তী জীবন অনন্ত। ফারাও রা ফেরাউন প্রাচীন মিশরের রাজাদের উপাধি ছিল। মৃত্যুর পরে তাদের দেহকে মমি করে পিরামিডের ভিতর সময় তো করা হতো।

প্রত্যেক ফেরাউন চাইতো তাদের আগের ফেরাউন যেভাবে পিরামিড তৈরি করত তার থেকে বড় বা ভালো পিরামিড তৈরি করতে। এসব ফেরাউন মনে করত মৃত্যুর পর যতদিন তাদের দেহ সংরক্ষণ করা হবে ততদিন তারা স্বর্গে বসবাস করবে। এজন্য এসব ফেরাউনরা হাজার হাজার বছর ধরে তাদের মৃতদেহ গুলো সংরক্ষণ করত এসব পিরামিডদের ভিতরে। এত বিশাল বিশাল পাথর কিভাবে একটার পর একটা তুলতো তা আজও অজানা রয়ে গেছে।

রহস্য ঘেরা পিরামিড

অনেকের মনে আজও প্রশ্ন জাগে এসব পিরামিড নিয়ে। মানব ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় নিদর্শন এই পিরামিড। পিরামিড বলতে আমরা শুধু বুঝি মিশরের পিরামিড। সাত-আশ্চয মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আচার্য হল এই মিশরীয় পিরামিড। এসব পিরামিড গুলো অবস্থিত মিশরের নীল নদের পশ্চিম তীরে। পৃথিবীর পুরনো সভ্যতা গুলোর মধ্যে মিশরের গড়ে উঠেছিল এসব পিরামিড।

মেসোপটেমিয়ার অধিবাসীরা প্রথম প্রাণীর আকৃতির স্থাপনা তৈরি করেছিল বলে ধারণা করা হয়। ইতিহাস থেকে জানা যায় মিশরীরা মানুষকে কবরস্থ করার জন্য মৃত ব্যক্তি দেহকে মমিতে পরিণত করে রাখত মৃতদেহগুলো যাতে পচে না যায় সেগুলো এই পিরামিডের ভিতরে রাখা হতো। রহস্যের শেষ নেই মিশরীয় এই পিরামিড নিয়ে। প্রাচীনকালে মিশরের রাজা-বাদশারা আমরা অনেকেই ফারাও বলে চিনি। 

এসব এসব ফারাও বা ফেরাউনের মৃত্যু হলে তাদের কবরস্থ করার জন্য মৃত দেহকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মমিতে পরিণত করে রাখতো। মমিতে পরিণত করার আগে মৃতদেহের মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে পচনশীল যেগুলো নারী ভুঁড়ি বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বের করে নেওয়া হতো।

লেখকের মন্তব্য

মিশরের পিরামিড সম্পর্কে আজও মানুষ গবেষণা করে যাচ্ছে । পিরামিডের ইতিহাস এটি কিভাবে তৈরি করা হয়েছিল এর কিছুটা আলোচনা করেছি । তাদের দেহ গুলো কিভাবে সংরক্ষন করা হতো তাহার বিস্তারিত আলোচনা করেছি । এই আলোচনা যদি আপনার একটু ভালো লাগে তাহলে একটা লাইক দিবেন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url